কারণ ভ্যাকসিনগুলো পেশিতে দেয়ার উপযোগী করেই তৈরী করা হয়।
ইনজেকশন একাধিক প্রকার রয়েছে। তাদের মধ্যে—
ইন্ট্রাভেনাস (Intramuscular) ইনজেকশন শিরায় অর্থায় সরাসরি রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করানোর উপযোগী করে তৈরী।
আর
ইন্ট্রামাসকুলার (Intramuscular) ইনজেকশন পেশীতে প্রবেশ করানোর উপযোগী করে তৈরী।
-
বেশ কিছু ঔষধ এবং প্রায় সব ইনজেকশনযোগ্য ভ্যাকসিন এই প্রকারের (অর্থাৎ পেশীতে প্রবেশ উপযোগী) হয়ে থাকে।
এই পদ্ধতিতে:
এতে দ্রুত এবং সমভাবে শোষিত হয়।
এতে দ্রুত ক্রিয়া শুরু হয়।
শিরায় প্রবেশ করানোর তুলনায় পেশীতে প্রবেশ করানোতে কার্যকারিতা ও সক্ষমতা বেশী।
এটি ধীরগতির, টেকসই, এবং দীর্ঘায়িত প্রক্রিয়া।
এতে বেশী পরিমাণে ঔষধ প্রবেশ করানো যায়।
ভ্যাক্সিন হাতের মাংশপেশিতে দেয়া হয় কারন এতেই এন্টিবডি তৈরী করার সুযোগ তৈরী হয়। আর এন্টিবডি তৈরী হওয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই পুরোটুক নাও বুঝতে পারেন। আরেকটি বিষয় ভ্যাক্সিন এ মূলত মৃত ভাইরাস দেয়া হয় তাই এন্টিজেন বলা হয়।
এই এন্টিজেন রক্তে দিয়ে দিলে মারাত্মক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে। পাশাপাশি এন্টিবডি তৈরী হবার সুযোগ ও কমে যায়। তাই মূলত ধমনীতে না দিয়ে মাংশ পেশিতে দেয়া হয়।